July 1, 2025, 9:25 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ভালুকায় নিরাপদ ব-র্জ ব্যবস্থাপনা না করার অপ-রাধে খামার মালিককে ২ লাখ টাকা জ-রিমানা পঞ্চগড়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে যৌ-ন নির্যা-তনের অভি-যোগ আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫ দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি পরিশ্রমী এক মানবিক চিকিৎসক ডা. হাসান মাহমুদ পাইকগাছা-সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজ ফে-লে পালি-য়েছেন ঠিকাদার মহেশপুর সীমান্তে ফের ভারতীয় নারী আ-টক ঝিনাইদহের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী’২৫ পালিত তেঁতুলিয়ায় বিবিজি প্রকল্প কাজে ব্যাপক অ-নিয়ম, অফিস নেয় লাখে ২৫ হাজার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা-গারে খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারুণ্যের উৎসব ও আলোচনা সভা অনিষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ অফিসে সাংবাদিক প্রবেশে বা-ধা প্রতিশ্রুতি দিলেও – ১০ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যব-স্থা

প্রাণিসম্পদ অফিসে সাংবাদিক প্রবেশে বা-ধা প্রতিশ্রুতি দিলেও – ১০ দিনেও নেয়া হয়নি ব্যব-স্থা

খলিলুর রহমান খলিল, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রংপুরে জাতীয় দৈনিকের তিন সাংবাদিকের সাথে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণে উপজেলার সাংবাদিক মহলের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন দাপ্তরিক ব্যবস্থা।

গত ১৮ জুন (বুধবার) দুপুরে দৈনিক কালবেলা, আমার দেশ ও সকালের সময় পত্রিকার তারাগঞ্জ প্রতিনিধিগণ তথ্য সংগ্রহের প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলে কর্মরত উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) মো. মামুনুর রশীদ তাদের সঙ্গে রূঢ় ও কটূক্তিপূর্ণ আচরণ করেন এবং অফিস প্রবেশে বাধা দেন। কার অনুমতি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করেছেন বলে প্রশ্ন তোলেন এবং বাকবিতন্ডা শুরু করেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের বিতর্কিত এই ঘটনা উপজেলার সংবাদিক মহল ও উপজেলা প্রশাসনে জানাজানি হলে, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে উপজেলার সকল সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি শোনেন এবং সাংবাদিকদের সাথে প্রাণিসম্পদ অফিসে দাপ্তরিক শুদ্ধাচার লংঘনের এমন ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, যেকোন তথ্য সংগ্রহ সাংবাদিকদের অধিকার। সেখানে সরকারি অফিসে তথ্য সংগ্রহকালে একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়।
এসময় অফিসে অনুপস্থিত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন করে ডেকে নেন। পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তার অফিস কক্ষে সকল সাংবাদিক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) মো. মামুনুর রশীদ এর শুদ্ধাচার লংঘিত ঘটনাকে অনভিপ্রেত ঘটনা বলে উল্লেখ করেন এবং ১ সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকের সাথে উদ্ধত আচরণে অভিযুক্ত মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবিলম্বে অন্যত্র বদলির দাবি জানান। কিন্তু ঘটনার দশদিন অতিবাহিত হলেও দাপ্তরিক ভাবে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, উপজেলার বিভিন্ন কসাইখানার মাসয়োরা চাঁদাবাজ মামুনুর রশীদ ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলাম যোগদানের পর যোগশাজোস করে সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন এবং এলডিপি প্রকল্পের উপকারভোগী পিজি গ্রুপের সদস্যদের সভা ও প্রশিক্ষণে খাবার ও ভাতা বাবদ বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ-এর ঘটনায় টিভি চ্যানেল সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পর দুই দফা তদন্ত হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নেয়নি কোন ব্যবস্থা। উল্টো পক্ষপাতমুলক বক্তব্য দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা স্ব-দাপ্তরিক স্বজন প্রীতি অনুমানযোগ্য।
উল্লেখ্য যে- উপ-সহকারী মামুনুর রশীদ আ‌গের কর্মস্থল রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় আচরণ খারা‌পের জন‌ স্থানীয়দের হাতে তিনি গণপিটুনি খে‌য়ে‌ছি‌লেন বলেও শোনা যায়। আর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কেএম ইফতেখারুল ইসলাম নাটোরের সিংড়া উপজেলায় কর্মকালে সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের ছত্রছায়া ও ওলামা লীগ সম্পৃক্ততায় ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তার করতেন মর্মেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেখা যায় গাছ খেকো এই কর্মকর্তা এখনো অজ্ঞাত আওয়ামী শক্তির ফ্যাসিস্ট আচরণেই আবদ্ধ।
উপজেলার সাংবাদিক ও সুধী সমাজ বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সবকিছু জেনেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরো বেপরোয়া এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছেন। তারা আরো বলেন, শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, প্রাণিসম্পদ সম্পৃক্ত উপজেলার অধিকাংশ সুবিধাভোগী খামারী ও পিজি সদস্যরা এই দুই অভিযুক্ত অফিসারের উপর অতিষ্ঠ! দেশে কি আর কোন পশু সম্পদ অফিসার নেই? এমন প্রশ্ন তোলেন এবং তারাগঞ্জবাসী ও অফিস শৃঙ্খলার স্বার্থে দুর্নীতিবাজ ও গাছ খেকো এই দুই কর্মকর্তাকে দ্রুত অপসরণের দাবি করেন।
এ বিষ‌য়ে‌ রংপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু সা‌ঈ‌দের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD